বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে লংমার্চের বহর আখাউড়ার স্থলবন্দর মাঠে এসে পৌঁছায়। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করার কথা রয়েছে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মসূচিকে ঘিরে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিন স্তরের নিরাপত্তার আওতায় বিজিবি, পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলা থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা লংমার্চে যোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থলবন্দরের প্রবেশমুখে জেলা যুবদলের নেতৃত্বে যানবাহন থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাঁচ হাজার যানবাহনের জন্য আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে। ভারতের কাছে স্বাধীনতা বিক্রি করব না। দিল্লির শাসন নয়, আমরা নিজেদের কথায় চলব।’
দুপুরে লংমার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌঁছায়। সেখানে পথসভায় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতীয় আগ্রাসন রুখবে।’
লংমার্চ শেষে আখাউড়ায় সমাবেশে ভারতের ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনগুলো।